এই ব্লগ এবং লেখা সম্পর্কে আপনার যে কোন মতামত আপনি লেখককে মেইল ​​করে অথবা ফোন করে জানাতে পারেন. ই - মেইল ঠিকানা shaabdurrouf@gmail.com মোবাইলঃ +8801558313605 +8801911726884 এই নাম্বারে ।

জুয়াড়ি

জুয়াড়ি
এস, এম, আব্দুর রউফ
রচনাকাল (২০০৯-১০)

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও শাহাজাদা চাকরি বা অন্য কোনো কর্মের চেষ্টা করে না। গ্রামের খয়িষ্ণু এক সৈয়দ পরিবারের ছোট ছেলে, জুয়া নেশায় আসক্ত শাহাজাদা মামার বাড়িতে বেড়াতে আসা আলেয়া নামের এক সুন্দরীর প্রেমে পড়ে। ইডেন কলেজের ছাত্রী আলেয়া ঢাকায় ফিরে গেলে আলেয়ার বাবা তার বিয়ে অনত্র্য ঠিক করে। খবর পেয়ে শাহাজাদা বন্ধু কবীরকে নিয়ে ঢাকায় গিয়ে আলেয়ার বাবাকে এ বিয়ে বন্ধ করতে অনুরোধ করলে তিনি রাজী হন না। আলেয়ার বাড়ি থেকে বের হয়ে হোটেলে যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে শাহাজাদা গুরম্নতর আহত হয়ে জ্ঞান হারায়। বিজলী নামে এক সুন্দরী শাহাজাদাকে উদ্ধার করে। তার চেষ্টা আর সেবা যত্নে শাহাজাদা সুস্থ হলে বিজলী তাকে প্রেম নিবেদন করে। কিন্তু বিজলী এক কল-গার্ল! শাহাজাদার কাছে তার পরিচয় এক দুশ্চরিত্রা পতিতার চেয়ে বেশি কিছু নয়।
শাহাজাদা আলেয়াকে ভালোবাসে,তাকে সে পেতে চায়। বিজলীকে আলেয়ার কথা বললে বিজলী তাকে আলোয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু আলেয়ারা সেখান থেকে চলে গেছে। কোথায়? শাহাজাদা তা জানে না,কিন্তু সে আলেয়াকে খুঁজে বের করবে,...এমন একটা প্রতিজ্ঞার কথা বিজলীকে জানায়। বিজলী তাকে বাধা দেয় না,আলেয়াকে খুঁজে পেতে শাহাজাদাকে সবদিক থেকে সাহায্য করবে, শাহাজাদাকে জানিয়ে দেয়।
বিজলীর ভালোবাসাকে প্রত্যাখান করলেও ঘটনাচক্রে শাহাজাদাকে বিজলীর বাড়িতে, বলতে হয় তার আশ্রয়ে থাকতে হয়,থাকতে হয় কারণ শাহাজাদা আলেয়াকে ভালোবাসে, তাকে সে খুঁজে পেতে চায়। বিজলীর কাছ থেকে শাহাজাদা আলেয়ার কাছে যেতে চায়;বিজলী তাকে বাধা দেয় না। কিন্তু বিজলীর রূপ-যৌবন, সৌন্দর্য আর ভালোবাসাকে এড়িয়ে কি শাহাজাদা পারবে আলেয়ার কাছে ফিরে যেতে? আলেয়াকে খুঁজে পেলেও সে কি শাহাজাদার কাছে ফিরে আসবে? আলেয়া এখন বিবাহিত!
বিজলীর রূপ-যৌবন,...প্রেম-ভালোবাসা,...নাকি শাহাজাদার বংশ-মর্যাদা,কে জয়ী হবে? জানতে কি চান ? তাহলে পড়ুন...

এ যুগের সোনাভান --

রচনাকাল (২০০৮)                                                (প্রথম সংস্করণ)
     অসৎ পথে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেও ট্রেজারি অফিসার তরফ হাওলাদার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে  আজ জীবনের অর্থ খুঁজে পেল! তরফ আজ উপলব্ধি করতে পেরেছে জীবন কোনো ঘাটে বাঁধা তরী নয় যাতে যাত্রীরা পারপার করবে। জীবন কোনো আকাশের তারা নয় যে তা দূর আকাশে শুধু মিটমিট করে জ্বলবে। জীবন কোনো কাব্য নয় যে, অজানা সৌরভ ছড়াবে। এই পৃথিবীর ধুলোমাটিতে লুটোপুটি খাওয়া, ধুলোমাটির সুঃখ-দুঃখকে আপন করে নিয়ে তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়টাই জীবন।তরফের স্ত্রী সোনাভান রংপুর শহরের সাধারণ এক পরিবারের মেয়ে হয়েও তার সব ভাবনাগুলো অসাধারণ! ছেলে মেয়ের  সাধারণ নাম সে দিতে রাজী না। ছেলের নাম রাখে মহাম্মদী বেগ, মেয়ের নাম ঘসেটি বেগম! মেয়ের স্বামীর বাবা জাফর আলীকে মীরজাফর উপাধি দেয়!  স্বামীর তরফের সবকিছু কুড়্গিগত করে তাকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। তার মেয়ে ঘসেটি ওরফে পরীবানু, সুদর্শন ডাক্তার আসিফের ভালোবাসা জোর করে পেতে চায়।...কিন্তু খালাতো বোন নুসরাতের সাথে আসিফের দীর্ঘ দিনের প্রেম।...ঘসেটির মা সোনাভান অর্থ আর ড়্গমতার জোরে আসিফ, নুসরাতের প্রেমের মৃত্যু ঘটিয়ে মেয়ের সাথে আসিফের বিয়ে দেয়।...আসিফের বাবা জাফর আলী নিষ্টুর প্রকৃতির লোক, প্রচণ্ড লোভী। অর্থের লোভে সোনাভানের দেয়া ‘মীর জাফর’ উপাধি সে গ্রহণ করে।...সুযোগ সন্ধানী জাফর আলী সোনাভানের একমাত্র ছেলেকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে। একমাত্র ছেলের  মৃত্যুতে উদভ্রানত্ম সোনাভান জাফরকে দেখিয়ে বলে,‘ ওকে আমি উপাধিটা দিলাম, আর তা আমার উপরই প্রয়োগ করলো?’  জীবন কি এই পৃথিবীর সুখ-দুঃখকে নিয়ে গড়া, না কি তা শুধুই মরীচিকা? আশা করি সহ্নদয় পাঠক বইটি পড়ে উত্তরটা খুঁজে পেতে চেষ্টা করবেন।

এ যুগের সোনাভান -- প্রথম পর্ব

প্রথম পর্ব   এক
  গঙ্গাচরা থানার মাছমারা গ্রামের ছেলে তরফ হাওলাদার রংপুর শহরে রহমত সর্দারের বাড়িতে থেকে তার মেয়ে সোনাভানকে পড়ায়। সোনাভান ক্লাশ সেভেনে পড়ে। দেখতে দেখতে তরফ আইএ, বিএ পাশ করল। সোনাভান মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর তরফ সোনাভানের বাড়িতে থেকে ওকে পড়িয়েছে।
   তাদের মাঝে প্রেম ভালোবাসা হওয়ার অনেক সুযোগ ছিল কিন্তু তা হয়নি। এ এক আশ্চর্য ঘটনা। তরফ গ্রামের গরিব চাষীর ছেলে। ওর মাঝে আবেগ আছে,আছে ভালোলাগা ভালোবাসার অনুভূতি। এমন বয়সে ছেলেরা মেয়েদেরকে প্রেম নিবেদন করে। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ বছর একসাথে থেকেও তরফ কোনদিন সোনাভানকে প্রেম নিবেদন করেনি।

জুয়াড়ি - প্রথম পর্ব - এক

জুয়াড়ি
এস, এম, আব্দুর রউফ
প্রথম পর্ব
এক
শাহাজাদা টেক্কাটা চিরতনের সাহেবটার উপর রাখল। হান্নান হরতনের সাহেবটা টেক্কাটার উপর রাখল। শাহাজাদা ইস্কাবনের টেক্কাটা বের করে সাহেবটার উপর রাখল। পাকা জুয়াড়ি হান্নান টেক্কা দু'টোকে পাত্তা না দিয়ে ইশকাপনের সাহেবটা টেক্কার উপর চেপে ধরল। সাহেবটার দিকে না তাকিয়ে শাহাজাদা হরতনের টেক্কাটা বের করে বোর্ডে ফেলে টাকাগুলো সব টেনে নিল।
শুধু হান্নান না, উপস্থিত অন্য আর সবাই হতভম্ব!
এমনটা সাধারণত ঘটে না। অনেক বড় জুয়াড়িও এভাবে তাশ সাফল করতে পারে না। মাত্র তিন বছরে শাহাজাদা কি করে হাতটা এমন পাকালো?
হান্নান কিছু বুঝতে পারে না। " তাসটা আমি নিজে ভালো করে কেটে দিলাম? তিন চারবার উলোট-পালোট করে কেটে দিলাম? তারপরও কি করে এটা হল? "
এসব প্রশ্নের উত্তর এখন কারো কাছে নেই, কারো করার কিছু নেই।

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites