রচনাকাল (২০০৮) (প্রথম সংস্করণ)
অসৎ পথে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেও ট্রেজারি অফিসার তরফ হাওলাদার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আজ জীবনের অর্থ খুঁজে পেল! তরফ আজ উপলব্ধি করতে পেরেছে জীবন কোনো ঘাটে বাঁধা তরী নয় যাতে যাত্রীরা পারপার করবে। জীবন কোনো আকাশের তারা নয় যে তা দূর আকাশে শুধু মিটমিট করে জ্বলবে। জীবন কোনো কাব্য নয় যে, অজানা সৌরভ ছড়াবে। এই পৃথিবীর ধুলোমাটিতে লুটোপুটি খাওয়া, ধুলোমাটির সুঃখ-দুঃখকে আপন করে নিয়ে তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়টাই জীবন।তরফের স্ত্রী সোনাভান রংপুর শহরের সাধারণ এক পরিবারের মেয়ে হয়েও তার সব ভাবনাগুলো অসাধারণ! ছেলে মেয়ের সাধারণ নাম সে দিতে রাজী না। ছেলের নাম রাখে মহাম্মদী বেগ, মেয়ের নাম ঘসেটি বেগম! মেয়ের স্বামীর বাবা জাফর আলীকে মীরজাফর উপাধি দেয়! স্বামীর তরফের সবকিছু কুড়্গিগত করে তাকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। তার মেয়ে ঘসেটি ওরফে পরীবানু, সুদর্শন ডাক্তার আসিফের ভালোবাসা জোর করে পেতে চায়।...কিন্তু খালাতো বোন নুসরাতের সাথে আসিফের দীর্ঘ দিনের প্রেম।...ঘসেটির মা সোনাভান অর্থ আর ড়্গমতার জোরে আসিফ, নুসরাতের প্রেমের মৃত্যু ঘটিয়ে মেয়ের সাথে আসিফের বিয়ে দেয়।...আসিফের বাবা জাফর আলী নিষ্টুর প্রকৃতির লোক, প্রচণ্ড লোভী। অর্থের লোভে সোনাভানের দেয়া ‘মীর জাফর’ উপাধি সে গ্রহণ করে।...সুযোগ সন্ধানী জাফর আলী সোনাভানের একমাত্র ছেলেকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে। একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে উদভ্রানত্ম সোনাভান জাফরকে দেখিয়ে বলে,‘ ওকে আমি উপাধিটা দিলাম, আর তা আমার উপরই প্রয়োগ করলো?’ জীবন কি এই পৃথিবীর সুখ-দুঃখকে নিয়ে গড়া, না কি তা শুধুই মরীচিকা? আশা করি সহ্নদয় পাঠক বইটি পড়ে উত্তরটা খুঁজে পেতে চেষ্টা করবেন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন