এই ব্লগ এবং লেখা সম্পর্কে আপনার যে কোন মতামত আপনি লেখককে মেইল ​​করে অথবা ফোন করে জানাতে পারেন. ই - মেইল ঠিকানা shaabdurrouf@gmail.com মোবাইলঃ +8801558313605 +8801911726884 এই নাম্বারে ।

জুয়াড়ি - প্রথম পর্ব - এক

জুয়াড়ি
এস, এম, আব্দুর রউফ
প্রথম পর্ব
এক
শাহাজাদা টেক্কাটা চিরতনের সাহেবটার উপর রাখল। হান্নান হরতনের সাহেবটা টেক্কাটার উপর রাখল। শাহাজাদা ইস্কাবনের টেক্কাটা বের করে সাহেবটার উপর রাখল। পাকা জুয়াড়ি হান্নান টেক্কা দু'টোকে পাত্তা না দিয়ে ইশকাপনের সাহেবটা টেক্কার উপর চেপে ধরল। সাহেবটার দিকে না তাকিয়ে শাহাজাদা হরতনের টেক্কাটা বের করে বোর্ডে ফেলে টাকাগুলো সব টেনে নিল।
শুধু হান্নান না, উপস্থিত অন্য আর সবাই হতভম্ব!
এমনটা সাধারণত ঘটে না। অনেক বড় জুয়াড়িও এভাবে তাশ সাফল করতে পারে না। মাত্র তিন বছরে শাহাজাদা কি করে হাতটা এমন পাকালো?
হান্নান কিছু বুঝতে পারে না। " তাসটা আমি নিজে ভালো করে কেটে দিলাম? তিন চারবার উলোট-পালোট করে কেটে দিলাম? তারপরও কি করে এটা হল? "
এসব প্রশ্নের উত্তর এখন কারো কাছে নেই, কারো করার কিছু নেই।
সবার পকেট সাফ হয়ে শাহাজাদার পকেটে চলে এসেছে। পরিমানটা খুব বেশি কিছু না, হাজার তিনেক টাকা হবে। শাহাজাদা চার শত টাকা নিয়ে এসেছিল। সব নিজের পকেটে ভরে বন্ধু কবীরকে বলল,
"
নয়টা বেঁজে গেছে, এখানে বসে থেকে কি করবি? এখন চল, বিকেলে তোর বাপের সাথে হাটে গিয়ে পকেটটা ভরে নিয়ে রাতে আসিস। তোরাও পকেট ভরে নিয়ে আসিস। কোনো চিনত্দা করিস না, আমি সব সাফ করে নিয়ে যাব। "
নিয়ে কারো চিনত্দা নেই, শুধু আকবর ছাড়া। ওর খুব টাকার দরকার। বয়সে আকবর সবার চেয়ে বড়। অবশ্য বয়স নিয়ে জুয়াড়িদের কারো মাথা ব্যাথা নেই। বয়সে কে বড় কে ছোট নিয়ে তারা ভাবে না। এরা সবাই সবার প্রতিপৰ,আবার বন্ধুও বটে!
দুইটা বউ আর পাঁচটা ছেলে মেয়ে নিয়ে এমনিতে বেশ ঝামেলায় দিন কাটে আকবরের। অভাব অনটনের সাথে বাড়িতে বউ দুইটার ঝগড়া ঝাঁটি লেগে রয়েছে। এসবে আকবরের খুব একটা মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু কয়েকদিন জুয়াতে হেরে পুঁজিপাটা নিয়ে টানাটানি চলছে ওর। মহাজনের কাছে পাঁচ হাজার টাকার বেশি বাকি পড়েছে। আজ মহাজনকে একহাজার টাকা না দিলে দোকানের মাল দিবে না, আর দোকান না চললে সংসার চলবে না সন্ধ্যায় জুয়ার আসরে আসা হবে না। অবশ্য পকেটে টাকা না থাকলে আকবর বাড়িতে বসে থাকবে এমনটা নয়। পকেটে টাকা না থাক বা পেটে ভাত না থাক, জুয়ার আসরে আসতে কোনোটাই কারো বাধা হয় না কখনও।
শাহাজাদার বন্ধু কবীর তিনশ টাকা নিয়ে এসেছিল,এক ঘন্টার মধ্যে তা হেরে য়ায়। হারলেও কবীর জুয়ার বোর্ড ছেড়ে যায়নি,শাহাজাদার পাশে বসে আছে। শাহাজাদার হারলে সেও হারে,শাহাজাদা জিতলে কবীরও জিতে। শাহাজাদা যখন ওকে বলল,
"
চলে আয়। সন্ধ্যায় পকেটটা ভরে নিয়ে আসিস," কবীর হাসল,
"
পকেট তো ভরেই আছে, আগে বের হই তার পর বাকিটা হবে 'ন। "
ইদ্রিসের বাড়ি থেকে সবাই বের হয়ে আসে। বাড়িটাতে মোট দুইটা ঘর। একটায় ইদ্রিসের বুড়ো মা বউ আর ছেলেমেয়েরা রাতে ঘুমায়। আর একটায় প্রায় প্রতিরাতে জুয়ার আসর বসে। এজন্য ইদ্রিসকে জুয়াড়িদের প্রতি রাতে ৩০ টাকা করে ঘর ভাড়া দিতে হয়। ইদ্রিস নিজেও খেলে, তবে প্রতিদিন না।
ঘর থেকে বের হয়ে আকবর শাহাজাদার পিছ্ ছাড়ে না। আকবর শাহাজাদার চেয়ে দশ বছরের বড়। কিন্তু গ্রাম্য সমর্্পকের সুবাদে সে শাহাজাদাকে চাচা বলে ডাকে।
"
আমাকে একহাজার টাকা ধার দে চাচা।"
কথাটা আকবর কয়েকবার বলেছে, শাহাজাদা বারবার তাকে না করেছে। কিন্তু আকবর পিছ্ ছাড়ে না, ওর শেষ অস্ত্রটা প্রয়োগ করে।
"
চাচা তুই কেমন সৈয়দরে? দুখী মানুষের দুঃখ বুজিস না? তোর বাপ হলে এই 'টা টাকা কখন দিয়ে দিত। " আকবরের কথা শুনে শাহাজাদা দাঁড়ায়। করম্নণ দৃষ্টিতে আকবরের দিকে তাকিয়ে বলে,
"
তুই বাবার কথা কি জানিস? " শাহাজাদার কথা শুনে আকবর হো হো করে হেসে উঠে।
"
চাচা তুই বলিস কি,আমার ভাইয়ের খবর আমি জানব না? আহা ভাইজানের কথা মনে হলে আর কিছু ভালো লাগে না। আহারে! কি মানুষ ছিলেন তিনি? সবাই তার জন্য আফসোস করে। আর করবে না কেন? এমন দিলদরিয়া মানুষ জগতে পাবো কোথায়?"
শাহাজাদার বাবা কেমন দিলদরিয়া মানুষ ছিলেন আকবর তা বহুবার শুনিয়েছে।
শাহাজাদার বয়স যখন ছয় বছর তখন ওর বাবা মারা যান। বাবার ঝাপসা কিছু স্মৃতি আজো শাহাজাদার মনে ভাসে। যদিও সেসব অস্পষ্ট, শাহাজাদা কল্পনায় সেগুলোকে জ্যনত্দ করতে চায়, অন্য কারো মুখে শুনতে ভালো লাগে। আকবরের কথা শুনে বাবা সৈয়দ আজমলের ছবিটা শাহাজাদা আঁকতে চায়।
"
সবাই বলে বাবা দেখতে খুব সুন্দর ছিলেন, আমি নাকি দেখতে তার মত হয়েছি? আমারো মনে পড়ে, খুব স্পষ্ট নয় তবে সুন্দর সুপুরম্নষ বাবার ছবিটাকে যেন দেখছি? "
"
কি চাচা, দে না বাবা টাকাটা। আমাকে এখন মহাজনের কাছে গিয়ে মাল কিনে আনতে হবে। নইলে দোকান খুলতে পারবো না। আর দোকান খুলতে না পারলে তো বুঝতেই পারছিস আমার অবস্থাটা কি হবে? তোর দুই চাচী মিলে কি হাল করেবে তা তুই জানিস? " শাহাজাদা হাসে,
"
টাকাটা কবে দিবি? "
"
আরে বাবা পারলে আজকেই দিব? সৈয়দ বংশের লোক হয়ে এই সামান্য 'টা টাকার জন্য এত ভাবিস, তুই কেমন সৈয়দরে?"
বংশ নিয়ে বলায় শাহাজাদা এবার ৰেপে উঠে। আকবর কিছু বোঝার আগে হঠাওর গলাটা চিপে ধরে! আকবর দম বন্ধ হয় প্রায়। গলা দিয়ে কোঁ কোঁ আওয়াজ বের হয়। তবু হাসতে হাসতে বলে," ছাড় বাবা ছাড়,আমি জানি তুই খাঁটি সৈয়দ। দে'তো এখন টাকাটা।"
শাহাজাদা পকেট থেকে টাকাটা বের করে দেয়।
কেউ অবাক হয় না এতে। বরাবর এমনটা হয়। আকবর অবশ্য টাকা মেরে দেয় না। জুয়াতে লাভ করলেই টাকাটা দিয়ে দেয়। যেদিন শাহাজাদা হারে সেদিন হয়ত আকবর জিতে। এরা আসলে কেউ জিতে না। তবে জেতার স্বপ্ন দেখে। পৃথিবীর সব বড় বড় স্বপ্ন জুয়াড়িরা দেখে। শুধু এরা নয়,সারা জগতের জুয়াড়িরা স্বপ্ন দেখে,...একদিন বিশাল বড় একটা দান মেরে বিরাট কিছু একটা সে হয়ে গেছে।
স্বপ্নটা শাহাজাদা দেখে। সৈয়দ আশরাফ আলী, ওরফে শাহাজাদা। শুধু আদম গ্রামের না অঞ্চলের বিখ্যাত সৈয়দ পরিবারের ছোট ছেলে। ৰ্যাপাটে স্বভাবের জন্য সবাই ওকে ভয় পায়। এমনিতে কারো কোনো ৰতি সে করে না কিন্তু কেউ খ্যাপালে তার বারোটা সে বাজাবে।
ইদ্রিসের বাড়ি থেকে বের হয়ে শাহাজাদা বন্ধু কবীরকে নিয়ে বাজারের দিকে চলল। বাজারের স্কুলটায় গিয়ে ওরা থামল। স্কুলটার পাশ দিয়ে ওদের বাড়ি যাওয়ার রাসত্দা। দু'জনেই ওরা স্কুলটায় পড়েছে। শাহাজাদা এখান থেকে মাধ্যমিক পাশ করে পীরগাছা কলেজে ভর্তি হয়। সেখান থেকে আইএ পাশ করে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অর্নাস সহ এম, , পাশ করে। কিন্তু কোনো চাকরির চেষ্টা করেনি,...কেন? প্রশ্নটা অনেকের,কিন্তু উত্তরটা কেউ পায় না, জিজ্ঞেস করলে শাহাজাদা কিছু বলে না। এমনকি বন্ধু কবীরকেও না। আজ স্কুলটার পাশ দিয়ে যেতে যেতে শাহাজাদা স্কুলটার সামনে দাঁড়িয়ে হাসতে থাকে। কবীর কিছু বুঝতে না পেরে বলে,
"
কি হল বোকার মত হাসছিস কেন? জিতেছিস বলে কি তোর হাসি পাচ্ছে? জুয়ায় হারজিত আছে তা কি ভুলে গেলি? "
"
আরে না এই সামান্য একটা জিতের জন্য আমি হাসব? তোর মনে আছে, ক্লাশ নাইনে পড়ার সময় পন্ডিত স্যারের ক্লাশে পিছনের বেঞ্চে বসে তুই আমি আর খলিল তিনজনে তাস খেলছিলাম। পন্ডিত স্যার চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছিলেন। ক্লাশের সবাই ব্যাপারটা জেনে ফেলে, কিন্তু পন্ডিত মশাই জানতে পারেননি। নিয়ে হই চই পড়ে, বিচার পর্যনত্দ হয়..." শাহাজাদা শেষ করতে পারে না। কবীর বলে,
"
মনে নেই আবার? তোর পিঠে কি সপাং সপাং মার, কি কান্না তোর! তোর কান্না দেখে স্কুলের সবাই এমনকি আশপাশের সব গাছপালা আর গরম্ন ছাগলগুলোও কাঁদতে লাগল। আমি কাঁদতে কাঁদতে হেড স্যারকে বললাম, স্যার, ওর সৈয়দের পিঠ, পিঠে অত মার সইবে না। স্যার দেখেছেন না কেমন মেয়ে মানুষের মত..." কবীরের কথা শেষ হতে না হতেই শাহাজাদা কবীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ওর পেটে কিল ঘুষি মারতে থাকে। কবীর ব্যথায় উহঃ আহঃ করতে করতে বলে," ছাড় ছাড় মরে যাব। আমি মরে গেলে তোর টাকা কে গুনবে? তোর বউকে কে নিয়ে আসবে? আমি ছাড়া তোর তো কেউ নেই? "
কিল ঘুষি বন্ধ করে কবীরের মাথার চুল ধরে শাহাজাদা বলে,
"
আমি বিয়েই করব না তুই আমাকে কিসের ভয় দেখাস? "
"
আমি ভয় দেখাব কেন? বিয়ে করবি না তো ভালো কথা কিন্তু আমাকে আলেয়ার মামার কাছে বারবার পাঠাস কেন? আলেয়াকে কি তুই বিয়ে করবি? তোর বাড়ির সবাই বিয়েতে রাজী হবে? নিয়ে আমি খুব চিনত্দায় আছি। "
"
তুই এত ভাবিস কেন,আর ভাবিস বা কি? অলেয়াকেই আমি বিয়ে করব? "
"
আলেয়াকে তুই বিয়ে করবি? কিন্তু তোর ভাই-ভাবী আর মা কি রাজী হবেন? অলেয়ারা তোদের মত উচ্চবংশীয় নয়। কেন জানি আমার মনে হয়,তোর বাড়িতে কেউ রাজী হবে না। চাচী (শাহাজাদার মা ) হয়ত রাজী হবেন, কিনত্দু তোর ভাই ভাবীরা? "
ভাই,ভাবীদের কথা বলতে গিয়ে কবীর মেজ ভাবী শরীফা বেগমের কথা বলছে শাহাজাদা তা জানে। সবকিছুতে খুঁত ধরার স্বভাবের জন্য মেজ ভাবীকে শাহাজাদা পছন্দ করে না। শরীফা বেগমের বাবার বাড়ি কল্যানী গ্রামে। ওদের বংশ্ব খাঁ,লোকে বলে খাঁ'রা উঁচু বংশ্বের নয়। সৈয়দদের তুলনায় এরা তেমন কিছু না। কথাটা শরীফাকে শুনতে হয়। শরীফার শুনতে ভালো লাগে না, গায়ে জ্বালা ধরে। তাই সুযোগ খুঁজে সৈয়দদের সাধারণ কোনো আত্মীয় বা পরিচিত স্বজন কাউকে পেলে তাকে খোঁটা দিয়ে জ্বালা মিটানোর! জন্য টার্গেট হিসেবে শাহাজাদার বন্ধু কবীরকে তার এক নম্বর পছন্দ।
"
যার কুল-বংশ কিছু নাই তার সাথে সৈয়দ বাড়ির কারো এমন করে কি মেশা উচিত? সবাই ছিঃ ছাঃ করে। " শরীফা বেগমের খুব একটা রাখ-ঢাক নেই। এমন কিছু বাঁকা মনত্দব্য মাঝে মাঝে সে শুনায়,সুযোগ পেলে কবীরকেও শুনায়। কবীরের কি প্রতিক্রিয়া হয় তা কেউ জানে না। এসবকে নিছক মেয়েলি কথা ভেবে সে উড়িয়ে দিতে চায়।
"
দেখ, মেজ ভাবী এসব বলে মিছামিছি সময় নষ্ট করে কেন? এসব নিয়ে আজকাল কে আর ভাবে? আর ভেবে বা কি হবে? " শাহাজাদা বিষণ্ন মনে উত্তর দেয়,
"
তুই ঠিক কষ্ট পাস, কিন্তু আমাকে সান্ত্বনা দিতে এসব করে বলছিস, আমি তা জানি। আমাকে নিয়ে ভাবিস না, আমাকে সান্ত্বনা দিতে হবে না। আমি সৈয়দ বংশের একজন। বংশ গৌরব আমি অস্বীকার করি না। আমাকে যখন সৈয়দদের কেউ বলে লোকে প্রশংসা করে, শুনতে আমার ভালো লাগে। কার না লাগে বল? আমাদের মত এমন উচ্চ বংশীয় তলস্নাটে আর কেউ আছে? যদিও কখনো কখনো মনে হয় এসব কুল বংশ আদৌও হয়ত কিছু নেই কিন্তু তারপরও শুনতে, ভাবতে ভালো লাগে। আলেয়া সৈয়দ না হোক, কিন্তু তাকে বিয়ে করব বলে ঠিক করেছি, কারো বাধা আমি মানবো না। কিন্তু আমি ভাবছি আলেয়ার বাবা কি আমার সাথে তার মেয়ের বিয়ে দিতে রাজী হবে? আমাদের তো আর এখন সেদিন নেই? "
"
রাজী হবেন না কেন? তোর মত এমন বংশ,বুনিয়াদি ঘরের ছেলের সাথে যে কেউ মেয়ের বিয়ে দিতে চাইবে। আলেয়ারা ঢ়াকায় থাকলেও তারা রংপুরের আদি বাসিন্দা। আলেয়ার বাবা বদরগঞ্জ থানার এক গ্রামের লোক। তোর মত এমন এক রাজপুত্তরকে জামাই করতে তিনি অমত করবেন না। আমি মেয়ে হলে তোকে কিন্তু ছারতাম না। "
"
ভাগ্যিস মেয়ে হসনি, হলে তোর দিকে কে তাকাত বল? রাসত্দার ধারে বসে ছেলেদের দেখতিস আর হা হুতাশ করতিস। "
কবীর ৰেপে যায়। শাহাজাদাকে মারতে তেড়ে আসে। শাহাজাদা দৌড় দেয়। কিছুদূর গিয়ে পকেট থেকে টাকা বের করে হাতে নিয়ে থেমে যায়। কবীর ওর কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। শাহাজাদা টাকাগুলো কবীরের সামনে এগিয়ে ধরে। কবীর কিছু বলে না, টাকাটা হাতে নিয়ে সেখানে ঘাসের উপর বসে পড়ে।
কুয়াশা ভেদ করে সূর্য ধীরে ধীরে উঠছে। চারদিক ধানের মাঠে মাঠে সোনালি রোদ লুকোচুরি খেলছে। শাহাজাদা কবীরের পাশে বসে ধান ৰেতের দিকে তাকিয়ে থাকে। 'কি ভাবছিস?' কবীর জিজ্ঞেস করে। শাহাজাদা কিছু বলে না। কবীর টাকাগুলো ওর হাতে দিয়ে বলে,
"
আজ দানটা ভালই মেরেছিস। এখানে এক হাজার ছয় শত টাকা আছে। আমার তিন শত নিয়েছি, তোর কত ছিল, চার শত? " শাহাজাদা মাথা দোলায়।
"
আকবরকে এক হাজার দিলি,তাহলে মোট ২২ শত লাভ হল। ভালোই হল এভাবে আর কিছুদিন এমন কয়েকটা দান যদি মারতে পারিস তা হলে আলেয়ার বাপ তোকে এমনিতে ডেকে নিয়ে আলেয়ার সাথে শাদী কবুল করে দিবে। কোনো চিনত্দা করিস না। চল, বাড়ি চল।"


0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites